ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১২ পিএম
ভৈরবে ইস্কন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুর করা হয়। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইসকন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান প্রান্ত, তার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত এবং পৌর ছাত্রলীগের উপ শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. সানজিদ।
এদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী (বিপিএম)। এছাড়াও ঘটনার দিন থেকেই ঘটনাস্থলে বিশেষ তদারকি করছেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, ভৈরব সেনা ক্যাম্পের মেজর সানজিদুল ইসলাম, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পৌর শহরের রাণীর বাজার এলাকায় অদৈত্য সাহার বিল্ডিংয়ের নিচতলায় কিছু দুষ্কৃতিকারী লাঠি সোঁটা নিয়ে ইসকন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ইসকন নামহট্ট সংঘের সদস্য প্রণয় কর্মকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের সদস্য অভিযোগকারী প্রণয় কর্মকার বলেন, ১০ বছর যাবৎ নরসিংদী ইসকন মন্দির থেকে ভৈরবের শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘটি পরিচালনা করা হয়। আমরা সপ্তাহে একদিন (রবিবার) এখানে কীর্তন ও গীতা পাঠ করি। আমাদের সংঘটি বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে ভাঙচুর করেছে আমরা জানি না। আমাদের কি অপরাধ ছিল। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী (বিপিএম) বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষী যে কেউ হোক তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনে আওতায় আনা হবে। তদন্তটিম বিভিন্নভাবে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করতে কাজ করছে।