মধ্যাঞ্চল অফিস
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৩ এএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৫ এএম
দানবাক্স খুলে টাকা গণনা করা হচ্ছে। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন সেগুলোর গণনা চলছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ ছাড়া এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তিন মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার কিছুদিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক সংযুক্ত করা হয়েছিল।
এর আগে সর্বশেষ ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল।
এর আগে একই বছরের (২০ এপ্রিল) পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়; যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল এ মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।
সিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমত বলেন, সকাল ৯টায় টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। এবার টাকা আরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গণনার পর সমুদয় টাকা রূপালী ব্যাংক, কিশোরগঞ্জ শাখায় জমা করা হবে।
উল্লেখ্য, শুরুতে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর পাগলা মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে ৩.৮৮ একর ভূমির ওপর সম্প্রসারিত পাগলা মসজিদ এলাকায় মসজিদ কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাগলা মসজিদে মুসল্লির ব্যাপক সমাগম ঘিরে পুরাতন অবকাঠামো ভেঙে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মানুষ টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, কুরআন শরিফ ইত্যাদি দান করেন। এর মধ্যে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার মসজিদের সিন্দুকগুলোয় জমা পড়ে।