‘জুলাই গণহত্যার দায় শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামীম বলেছেন, জুলাই গণহত্যা ও বিগত সময়ের গুম-খুনের ঘটনায় ২/১টি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সে যেহেতু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাকেই এর দায় নিতে হবে। 

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মোংলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মূলত তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিযুক্ত হওয়ায় তাকে এই সংবর্ধনা দেন মোংলাবাসী। 

গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামীম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে শতাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেগুলোর তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনও হাতে পেয়েছি। যার ওপর ভিত্তি করে ৭০ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানিয়েছি। ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে। তাদের মধ্যে ২২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরও করা হয়েছে। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সাবেক এমপি ও সাবেক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হবে। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণও পেয়েছি। 

এছাড়া ৫ মে শাপলা চত্বরের নৃশংসতার ঘটনায়ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগেরও তদন্ত হচ্ছে। আর বিগত ১৫ বছর ধরে চলে আসা গুম-খুনেরও তদন্ত হচ্ছে। গুমের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায়া জারির আবেদন করেছি। সেটিও মনজুর রয়েছে। 

একটি ট্রাইব্যুনালে ২ হাজার ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও ৩০ হাজার আহত পরিবারের বিচার হচ্ছে। এজন্য অবশ্যই সময় লাগছে বলেও জানান তিনি। 

মোংলা-রামপালের দ্বিগ্বিজয়ী মুফাসসিরে কুরআন ও গণমানুষের নেতা শহীদ মাওলানা গাজী আবু বকর সিদ্দিক (র.) এর ছেলে গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামীম। এই এলাকারই সন্তান তামীম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিযুক্ত হওয়ায় তাকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটে জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফসহ জামায়াত ইসলামীর স্থানীয় নেতারা।