ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫৮ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইসকন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় পৌর শহরের রানীবাজার এলাকায় অজিত্য সাহার বিল্ডিংয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, কিছু দুষ্কৃতকারী লাঠি হাতে ইসকনের ভৈরবে ঠাঁই নাই ও নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দিতে দিতে সংঘটি ভাঙচুর করে। তবে এ সময় কারা ভেঙেছে কেন ভেঙেছে, সে বিষয়ে কিছু জানে না বলে এ প্রতিনিধিকে জানান তারা।
এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের সদস্য কৃষ্ণ কর্মকার, মিল্টন সাহা বলেন, আমরা সপ্তাহে এক দিন রবিবার এখানে কীর্তন ও গীতাপাঠ করি। আমাদের সংঘটি বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে ভাঙচুর করেছে আমরা জানি না। সংঘে ভগবানের চিত্র ছিল। ভগবানের বেদি ছিল, সেটিও তারা ভেঙে দিয়েছে। পুরু সংঘটি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এমনকি গীতাটিও ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। এটা ইসকনের একটি শাখা ছিল। আমাদের কী অপরাধ।
এ বিষয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নেতা চন্দন পাল বলেন, ১০ বছর যাবৎ নরসিংদীর ইসকন মন্দির থেকে ভৈরব শাখাটি পরিচালনা করা হয়। এখানে শান্তিপূর্ণ কীর্তন ও গীতাপাঠ হয়। কে বা কারা ভেঙেছে আমাদের জানা নেই। তবে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে গোপাল জিউর মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ বলেন, এটা ইসকনের কোনো মন্দিন নয়। তবে এটি ইসকনের একটি উপাসনালয়ের শাখা। সারা দেশে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যে ইস্যু তৈরি হয়েছে সেই রাগ থেকেই মনে হয় ভাঙচুর হয়েছে। আমরা চাই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা ভেঙেছে সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভৈরবের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখানে ইসকনের একটি উপাসনালয়ের জায়গা। সপ্তাহে এক দিন এসে প্রার্থনা করত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এর আগেও মিটিং হয়েছে। আমাদের লিস্টে এই সংগঠনের নাম ছিল না। যদিও এটি ধর্মীয় বিষয়, তাই বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে।