সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার হত্যার তিন দিনের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারসহ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আব্দুল ওয়ারেস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার মাহদী হাসান কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার কৌতেরকান্দি গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ঢাকার সাভার উপজেলার ডগরমোড় সিআরপিতে ভাড়া থাকেন। গ্রেপ্তারের পর আসামি মো. মাহদীর স্বীকারোক্তিতে নিহত গৃহবধূ তানিয়া আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ওড়না ও সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল মাহদী হাসানকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
সিঙ্গাইর থানা সূত্রে জানা যায়, তানিয়া আক্তার ও আসামি মাহদী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোনে পরিচয়ে তারা বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তানিয়ার পরিবার জানার পর উভয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে আসামি মাহদীর কর্মস্থল রিয়াদ উল জান্নাত দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একত্রিত হয়ে আর মিলিত হবেন না মর্মে সুরাহা করেন। এর পরও তারা তাদের অবৈধ সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। আসামি মাহদীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখেন। এ কথা জানতে পেরে তানিয়াকে শাসন করেন মাহদী। গৃহবধূ তানিয়া মাহদীর শাসন উপেক্ষা করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন। যার প্রেক্ষিতে আসামি মাহদী তার জন্মদিনে তানিয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। গত ২৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে জন্মদিনের কেক নিয়ে তানিয়াকে বসতঘরের পেছনের বাথরুমে যেতে বলে। তানিয়া বাথরুমে যাওয়ার পর মাহদী তানিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।