রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫ পিএম
‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। আমরা ভৌগোলিক স্বাধীনতা পেয়েছি ৭১ সালে। তবে নাগরিক স্বাধীনতা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিতা গণতন্ত্রকে কেটে টুকরো টুকরো করে একদলের শাসন কায়েম করলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মহানায়ক জিয়াউর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সার্বভৌমত্ব অটুট রাখাই হলো ৭ নভেম্বর। যারা আমাদেরকে পরাধীন রাখতে চেয়েছিল, যারা মনে করেছিল তাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে। যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের জন্য কাজ করেছে, তাদেরকে বারবার হেয় করেছেন শেখ হাসিনা। জিয়াউর রহমানসহ প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে হেয় করেছেন। ৭ নভেম্বর আমাদের স্বাধীনতাকে পূর্ণাঙ্গ করেছে।
চিন্ময় গ্রেপ্তার ইসুতে ভারতের বিবৃতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যুবলীগ-ছাত্রলীগ যখন কিশোর বিশ্বজিৎকে হত্যা করে, সেদিন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে কোনো স্টেটমেন্ট দেখলাম না। তখন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চুপ থাকল কেন? আপনারা কী করছেন, দেশবাসী সেটা জানে। দুই হাজারের মতো শিশু, তরুণকে হত্যা করলেন শেখ হাসিনা; তাকে আপনারা সেখানে (ভারত) আশ্রয় দিয়েছেন।’
এ সময় ৩২ বছর আগে তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসুর নির্বাচিত ভিপি ছিলাম। আশির দশকের যে বিশ্ববিদ্যালয়Ñ আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখে ঠিক একই রকম লাগছে। ওই সময় আরেকটি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমরা সম্পৃক্ত ছিলাম। মতিহারের সবুজ চত্বর আমার কাছে সেই আগের মতো হয়ে ফিরে এসেছে। আমি আবারও তারুণ্যে ফিরে যাচ্ছি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আমি থ্রি নট থ্রির গুলিতে আহত হয়েছিলাম।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম।