কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪ পিএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা অবরোধ করে আন্দোলন করেছে মাহমুদ জিন্স কারখানার শ্রমিকরা।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শ্রমিকরা।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়ক ব্যবহারকারী পথচারী ও যাত্রীরা। এ সময় চন্দ্রা এলাকার আশপাশের বেশ কয়েকটি শিল্পকারখানা বন্ধ রাখা হয়।
বিকাল ৪টার দিকে মালিকপক্ষ কারখানার সামনে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বকেয়া বেতনের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা মালিকপক্ষের লোকজন ও শিল্প পুলিশের সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের লোকজনকে কারখানার ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক, বিজিএমইএ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে নভেম্বরের ২৮ তারিখে বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ অক্টোবর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন। শ্রমিকরা জানান ২৮ নভেম্বর কারখানা থেকে কোনো মেসেজ না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের দাবি, যে পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করবে সে পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্পূর্ণ অচল থাকবে।
শিউলি আক্তার নামে মাহমুদ জিন্স কারখানার এক নারী অপারেটর জানান, আমরা যারা সাধারণ শ্রমিক তাদের বেতন আগেই পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে আমাদের যে সার্ভিস বেনিফিট রয়েছেÑ তা ২৮ তারিখ পরিশোধ করার কথা ছিল, কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানার চেষ্টা করছে।
কারখানাটির প্যাটার্ন মাস্টার আব্দুল হালিম জানান, আমরা যারা ঊর্ধ্বতন পদে রয়েছি তাদের মাঝে কারও পাঁচ মাস কারও সাত মাসের বেতন এবং সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া রয়েছে। মালিকপক্ষের লোকজন কারখানার সামনে এলেও তারা বেতন না দিয়ে উল্টো কালক্ষেপণ করে যাচ্ছে।
গাজীপুর কলকারখানা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল জানান, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। মাহমুদ জেমস কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে আজকে কালিয়াকৈর উপজেলায় ৮টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।