হাওরাঞ্চল (নেত্রকোণা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের মূল ফটকসংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা আওয়ামী লীগ নেতার দোতলা ভবনসহ ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব রহমানের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক থানা পুলিশসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলা সদর ভূমি অফিসের মূল ফটকসংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে থাকা প্রায় ১৩ শতাংশ সরকারি জায়গা দখল করে গত ১৬-১৭ বছর ধরে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল দখল করে আসছিল। এ সুযোগে এখানে একটি দোতলা ভবনসহ ১৫টি স্থায়ী বসতি নির্মাণ করে দখলকারীরা। এর মধ্যে মূল ফটকসংলগ্ন জায়গা দখল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন তালুকদার একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেন। অন্য দখলদাররাও তখন থেকেই সেখানে বড় বড় স্থায়ী টিনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি জায়গা থেকে ওইসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলদারদের কয়েকবার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সকাল থেকেই এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে ওইসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন তালুকদার ছাড়াও এখানে অন্য দখলদাররা হলেনÑ হারুন মিয়া, কবির মিয়া, মোশারফ হোসেন, ইসলাম উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন, আকিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মজনু মিয়া, আবুল হাসেম, শামসু মিয়া, ভোলা সাহা, উজ্জ্বল মিয়া ও তানিয়া আক্তার।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অলিদুজ্জামান বলেন, ‘এখানকার সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী দখলদারদের এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেননি। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমরা এখানে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় একটি দোতালা বাড়িসহ সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।’