সিলেট অফিস
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩২ পিএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম
নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী
সিলেট নগরীর শাহপরান এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে নিহত বিলাল আহমদ মুন্সীর (৩৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্ব চলছিল। এলাকার কিছু লোক দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে এই বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ-বৈঠক হয়। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষ নেন শাহজালাল উপশহর গ্রুপের যুবদল-ছাত্রদলের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে যুবদলের উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় যান। এ সময় তারা স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবদলকর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিলাল হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। বেলা ৩টার দিকে শাহপরান গেটে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এতে স্থানীয় লোকজন ও যুবদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। নিহত বিলাল স্থানীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।