× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কৃষি

মরিচের গ্রাম রামচন্দ্রপুর

জাকির হোসেন, বুড়িচং (কুমিল্লা)

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৩ এএম

জেলার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর পশ্চিম তীরের রামচন্দ্রপুর গ্রামে মরিচক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন এক কৃষক। প্রবা ফটো

জেলার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর পশ্চিম তীরের রামচন্দ্রপুর গ্রামে মরিচক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন এক কৃষক। প্রবা ফটো

কুমিল্লার অন্যতম শস্যভান্ডার গোমতীর বিস্তীর্ণ চর। প্রতিবছর উজানের ঢল বিপুল পলি বহন করে চরের জমি উর্বর করে। নদীটি ভারত থেকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস হয়ে দাউদকান্দির সাপটায় মেঘনা নদীতে মিলিত হয়। নদীর চর এলাকায় বছরজুড়ে নানা ফসল উৎপাদন করে থাকেন স্থানীয় কৃষকরা। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা বর্ষাপরবর্তী সময়ে উচ্চফলনশীল জাতের মরিচ উৎপাদন করে সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন। 

জেলার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর পশ্চিম তীরের ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রাম। চলতি মৌসুমে যাকে মরিচের গ্রাম বললেও ভুল হবে না। রামচন্দ্রপুর গ্রামের নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শত শত একরজুড়ে মরিচের বাগান চোখে পড়ে। কথা হয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। তারা জানান, আশ্বিনের শেষদিকে চরের পানি শুকালে তারা মরিচ চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাটি নরম থাকায় জমি তৈরিতে সময় লাগে না। এরপর প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগসহ জমি চাষাবাদের উপযোগী করে মরিচের চারা রোপণ করা হয়। তারা বলেন, মরিচ লাগানোর সময় হলেই বেসরকারি বীজ কোম্পানির মাঠপর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের থেকে বীজ কিনতে কৃষকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেন। তবে গত কয়েক মৌসুমে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের বীজের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় এবার অনেকটা সতর্ক তারা।

কৃষকরা জানান, এবার অধিকাংশ খামারি ১৭০১ ডিজি এবং বিজলী প্লাস জাতের উচ্চফলনশীল মরিচের চারা রোপণ করেছেন। এসব জাতের চারায় রোপণের ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ফুল ও মরিচ আসে। পরবর্তী দেড় মাসের মধ্যে মরিচ বাজারজাত করা যায়। কথা বলে জানা যায়, এখানকার কৃষকদের অধিকাংশই কাঁচামরিচ বাজারজাত করে থাকেন। 

কথা হয় স্থানীয় কৃষক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চরে চোখ যত দূর যাবে প্রায় সব জমিতে শুধুই মরিচ চাষ করা হয়। রামচন্দ্রপুর গ্রামের কমপক্ষে দুই শতাধিক পরিবারের লোকজন উচ্চফলনশীল জাতের মরিচ চাষ করছে। এসব ক্ষেতে আমরা নিজেরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাজ করি। কখনও কখনও মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিকদের আনা হয়।’ 

গ্রামজুড়ে মরিচ চাষের উন্মাদনা দেখা গেলেও কৃষকরা নিজেদের দুঃখের কথাও বলেন। কৃষকরা জানান, আগস্ট মাসের বন্যায় চরে চাষকৃত সমস্ত ধান পানিতে তলিয়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি কোনো পক্ষ থেকেই তারা সহায়তা পাননি। ধানের ক্ষতির পর তারা মরিচ চাষ করছেন। এই ফসলের লাভ-লোকসান সবই তাদের। 

কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘সার, কীটনাশক, বীজ সবই নিজ দায়িত্বে কিনে চাষাবাদ করছি। সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহযোগিতা, পরামর্শ বা প্রণোদনা কিছুই পাই না আমরা এখনকার চাষিরা। এমনকি সরকারি অফিসের লোকজনের চেহারাও এ বছর দেখি নাই। নিজেদের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি দিয়েই চাষাবাদ করি।’ 

কৃষকদের সহায়তার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিনা আক্তার বলেন, ‘কৃষকদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। মাঠপর্যায়ে সব সময় যাতায়াত ও কৃষকদের খবরাখবরও নেওয়া হয়। তবে স্বল্প পরিসরের প্রণোদনা সবার কাছে পৌঁছায় না বলে কৃষকরা অনেক অভিযোগ করেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা