আবু সাঈদ হত্যা
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০৭ পিএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৯ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নগরের আলমনগরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা যান ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ। তার মৃত্যুর ঘটনায় ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।
এতে পুলিশের এএসআই আমির আলী, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
৯ সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজনচন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নূরুন্নবী, আবু সাঈদের সুরতহালকারী পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, সুরতহাল প্রতিবেদনে প্রতিস্বাক্ষরকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ সাদাতের নাম যুক্ত করতে বাদী রমজান আলী আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।