গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪২ এএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৫৩ এএম
গাজীপুরে এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মঙ্গলবারও (১৯ নভেম্বর) চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। পাশাপাশি সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ডরিন ও আইরিশ কারখানার শ্রমিকরাও।
এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিবহনগুলো চলছে বিকল্প রাস্তায়।
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিলেন শ্রমকরা। অক্টোবরের বকেয়া বেতনের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা।
শিল্পপুলিশসূত্রে জানা যায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তাদের বেতনের পরিমাণ ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতি মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু মালিকদের কেউ না থাকায় এখন বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যার কারণে শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার আন্দোলন শুরু করেন। বেক্সিমকো কারখানার এ সমস্যার কারণে গতকাল সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি কারখানা ও এলাকাবাসীর মধ্যে। উত্তেজিত হয়ে একটি কারখানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার পর থেকে আশপাশের বেশ কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্পপুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা প্রতি মাসেই আন্দোলন করে বেতন আদায় করছেন। চলতি মাসের ১৬ তারিখ হয়ে গেলেও বেক্সিমকোর শ্রমিকরা বেতন পাননি; যার কারণে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
ডরিন কারখানার শ্রমিক আহমদ সাত্তার বলেন, ‘আমাদের বেতন বকেয়া নেই। তবে আমাদের কারখানা বন্ধ রাখায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছি। এ ছাড়া বেক্সিমকোর পাশাপাশি আইরিন কারখানার শ্রমিকরাও সড়কে এসেছেন।’
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতোই তারা আজও সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা সারা দিন অবরোধ করে রেখে স্বেচ্ছায় রাতে সড়ক ছেড়ে দেন। তারা বেতন না পেলে সড়ক থেকে যাবেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষও বেতন দেবেন এমন কোনো আশ্বাস এখন পর্যন্ত দেননি।