কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফনদীর মোহনা থেকে দুইটি ট্রলারসহ ৬ মাঝিকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের কথা বলে এসব নির্মাণ সামগ্রী মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় দিকে ট্রলার মালিক এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তার মালিকানাধীন এসবি রাসেল ও আব্দুর রবের মালিকানাধীন এসবি ফারুক নামে দুটি সার্ভিস ট্রলার রড, বালু ও সিমেন্ট ভর্তি করে সেন্টমার্টিন নেওয়ার সময় মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে নিয়ে গেছেন আরকান আর্মির সদস্যরা। ট্রলার দুইটিতে ছয়জন মাঝি রয়েছেন। ঘটনার পর বিজিবি, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কেরুনতলী খাল থেকে ট্রলার দুইটি রড, বালু ও সিমেন্ট বোঝাই করা হয়েছিলো।
সেন্টমার্টিনে কোন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি বলেন, কেরুনতলী জেটি ঘাটটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ ঘোষণা করেছেন অনেক আগেই। ওই ঘাট দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী দ্বীপে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ট্রলার যোগে নির্মাণ সামগ্রী সমূহ মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগ তুলেছেন কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, দ্বীপে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়া নিষিদ্ধ। মূলত ট্রলার যোগে এসব নির্মাণ সামগ্রী পাচার করা হয়েছে। দায় এড়াতে অপহরণ বলে প্রচার করা হচ্ছে। ট্রলার মালিকের সঙ্গে এখন যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা পালিয়ে গেছেন।
দ্বীপের এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবদুর রশিদ, আব্দুর রব, ইসমাইল ও জাহাঙ্গীর নামের চারজনের সিন্ডিকেট সেন্টমার্টিনের নামে খাদ্যপণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী পাচার করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এবারও ট্রলার দুইটিতে নির্মাণ সামগ্রী পাচার করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিকাল ৪ টায় আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব ট্রলার যোগে নির্মাণ সামগ্রী পাচার নাকি ভিন্ন কিছু তা তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রলার দুইটি কোথায় তা বের করার চেষ্টা চলছে।