রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫৭ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬ পিএম
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘কাপ্তাই লেক দেশের অন্যতম মৎস্য ভাণ্ডার। লেকের সঙ্গে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তবে লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে এতে করে গভীরতা অনেক কমে গেছে। তাই এই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং জরুরি। কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাব।’
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে। সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে পৃথক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে এখন চার হাজার কোটি টাকা। এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব। হ্রদের ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। এখানে লাখো মানুষের আয়ের সংস্থান হবে। পানি প্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন ও জীবিকা বাড়াতে পানি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সকলে মিলে কাজ করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের, পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুনুর রশীদসহ স্থানীয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।