পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ২১:১২ পিএম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১২ পিএম
খুলনার পাইকগাছার লতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার বিরুদ্ধে হিন্দুদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতনের অভিযোগ ও এর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় বিএনপির একাংশ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ইব্রাহিম গাজী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহীম গাজী লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাইকগাছার লতা ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত ইউনিয়ন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা হতে এ ইউনিয়নে হিন্দুরাই বিএনপিকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল। সাবেক চেয়ারম্যান কিরণ চন্দ্র বিশ্বাসকে সভাপতি এবং মনোরঞ্জন রায়কে সম্পাদক করে প্রথম বিএনপির ইউনিয়ন কমিটি হয়। মনোরঞ্জন লতা ইউনিয়ন ছেড়ে পাইকগাছায় এলে আমাকে উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন। কমিটিতে অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আবু মুছাকে সাধারণ সম্পাদক করায় হিন্দুদেরকে কমিটি থেকে বাদ রেখে মুছার অনুসারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে মুছার নেতৃত্বে তার আত্মীয়স্বজন ইউনিয়নের শামুকপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব সরকার, মদন মোহন মন্ডলদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া শামুকপোতা বাজারে হিরনায় মন্ডল, প্রশান্ত মন্ডল, সমীরণ মন্ডলদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ইউনিয়নের কাঠামারী বাজারে সমরেশ ঘোষ, আনন্দ মোহন মন্ডল, কালিদাস মাস্টারের দোকান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে। যে হিন্দুরা একদিন বিএনপিকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল বর্তমানে মুছার অত্যাচারে তারা আতঙ্কিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাসুদ মোল্লা, জিয়ারুল ইসলাম, আবু তুহিন হাওলাদার, ওমর ফারুক মিঠু, মনিরুল সরদার, আকতার সরদার, রুবেল মির, সহিদ সানা প্রমুখ।