যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৪ পিএম
যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত পিয়াল হাসান ঝিকরগাছা এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঝিকরগাছা মুরগিবাজারের কাছে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত পিয়াল হাসান গত ৫ আগস্ট শামীমের বাবা কামরুলকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর যখম করেন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় শামীম মামলা করলে পুলিশ পিয়ালকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে বাড়িতে ফেরেন। গতকাল মোবারকপুর বাজারে সালিশি বৈঠকের পর প্রতিপক্ষ শামীম ও শাহীনসহ ৬ থেকে ৭ জন পিয়ালকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তার আত্মীয়-স্বজন উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা কিতাব আলী বলেন, পিয়ালকে শামীম, শাহীন, রিপন, ডালিম, সোহেল, মেহেদী, অনিক, আইয়ুব কুপিয়ে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে শামীম ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক। আগস্টে শামীম, শাহীন বাজারের একটা দোকানঘর নিয়ে গোলযোগে জড়ায়। দোকানঘরটিতে শামীম, শাহীন ও তাদের লোকজন তালা মেরে দেয়। তিন মাস ধরে দোকানটি বন্ধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পিয়াল জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শনিবার ঝিকরগাছা বাজারে একটি সালিশি বৈঠক হয়। ওই বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করছি।
বাজারের কয়েকটি সূত্র জানায়, নিহত ও হত্যাকারীরা সবাই বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ৫ আগস্ট রাতে পিয়ালসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানোর চেষ্টা করে। বিএনপির পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীমসহ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময়ে শামীমের বাবা কামরুলকে ছুরিকাঘাত করেন পিয়াল। ওই ঘটনার পর থেকেই দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার পিয়াল জামিনে বের হলে দুইপক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকের পর বাড়িতে ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
জানতে ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খানের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।