আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
পাসপোর্ট, ভিসা সবই ঠিক। এসেছেন বৈধ পথে, পরিশোধ করেছেন শুল্ককর। তবু চোরাচালান মামলায় আটক করে একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা-পুলিশ।
গত বুধবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কেন্দুয়াই এলাকায় সিএনজির গতিরোধ করে ১৩৮ পিস ভারতীয় থ্রিপিসসহ ওই দুজনকে আটক করা হয়। পরে চোরাচালান মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
যাত্রীরা হলেন- ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা দক্ষিণ রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজিব মিয়া ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের রোকসানা আক্তার।
আখাউড়া স্থল শুল্কস্টেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক মো. রাজিব মিয়া ও বাংলাদেশি নাগরিক রোকসানা আক্তার অনলাইনে শুল্ক পরিশোধ করেছেন। তাদের দেওয়া শুল্ক পরিশোধের চালান নম্বর দিয়ে অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তারা দুজন ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করেছেন। এতে করে ওই দুজনের সঙ্গে থাকা থ্রিপিসের বৈধতা রয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়েছেন ইমিগ্রেশন হয়ে বাংলাদেশ আসা ভারতীয় যাত্রীরা।
শুক্রবার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিসের সামনে কথা হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগর এলাকার বাসিন্দা সুনীল রায়ের সঙ্গে। তিনি পরিবার নিয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছেন।
সুনীল রায় বলেন, ‘শুনেছি বুধবার ভারতীয় এক যাত্রীকে কাপড়সহ আটক করে জেলে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ। আমি আমার পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছি। আমার স্ত্রী তার আত্মীয়দের জন্য কিছু কাপড়-চোপড় এনেছেন উপহার দেওয়ার জন্য। কিছুটা ভয়ে আছি পথে পুলিশ আবার কোনো ঝামেলা করে কি না।’
আখাউড়া স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন বলেন, কোনো যাত্রী যখন তার যাত্রী সুবিধা বা পরিধানের অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে আসে, তখন তার বিপরীতে শুল্ককর পরিশোধ করলে তা বৈধ হয়ে যায়।
বৈধ কাগজ থাকার পরও কেন ভারত থেকে আসা একজন বাংলাদেশি নারীযাত্রী ও একজন ভারতীয় নাগরিককে চোরাচালান মামলায় আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম প্রথমে বলেন তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পরে প্রতিবেদকের হাতে শুল্ককর পরিশোধের প্রমাণ রয়েছে জানালে তিনি বলেন, কাগজে লেখা রয়েছে তারা ৩৫টির শুল্ক পরিশোধ করেছেন বলে ফোন কেটে দেন। এর পর একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি কল ধরেনি।