বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২২ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১৫ পিএম
নিমসার বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। প্রবা ফটো
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচামালের পাইকারি বাজার নিমসারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর)গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিমসার কাঁচাবাজারের দুই পাশে সব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কম সময়ের নোটিসে তাদের দোকান ভেঙে দেওয়ায় মালিকপক্ষ থেকে জামানত ফেরত পাবেন না তারা।
নিমসার বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা জামানত দিয়ে দোকান দিয়েছিলাম। কিন্তু মৌখিক নোটিসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দোকান উচ্ছেদ করায় কেউ মালামাল সরিয়ে নিতে পারিনি। এখন মালিকপক্ষ থেকে জামানতের টাকা পাওয়া যাবে না।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। এ সময় বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওমর বাবুসহ সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে, উচ্ছেদের পর তদারকির অভাবে আবারও সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা গড়ার তোড়জোড় চলাচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি। এর আগেও গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সিন্ডিকেট বাজারে দখলের পর বাণিজ্য করেছিল। বছরের বিভিন্ন সময়ে সওজ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কয়েক দিন পর আবারও দখল হয়ে যেত।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মঈন উদ্দিন বলেন, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। কেউ আবারও অবৈধ স্থাপনা তৈরি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাজারটি দখলমুক্ত করছি। পরবর্তী সময়ে আবারও যেন দখল না হয়, এজন্য আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। মহাসড়কের উভয়মুখী লেনের মাঝখানের জমিতে বেষ্টনী দিয়ে বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে। ঢাকামুখী লেনের বাম পাশে একটু বেশি জায়গা আছে। সেখানে বাস থামাসহ বাজারের মালামাল ওঠানামার ব্যবস্থা করা হবে। চট্টগ্রামমুখী লেনের বাম পাশেও একই ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে বাজারের জায়গায় যানজট কমবে। কেউ যদি পুনরায় বাজার দখলের চেষ্টা করে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।