কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগ বৃহস্পতিবার গাছের চার রোপণ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। -প্রবা ফটো
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগ গাছের চারা রোপণ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বন বিভাগের কর্মীরা আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই রেঞ্জ জাতীয় উদ্যানের ব্যাংঙছড়ি এলাকায় পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় বিবিধ গাছের চারা রোপণের সময় স্থানীয় বসবাসরত লোকজন বাধা দেয়। স্থানীয় বসবাসরত মো. নুরুল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন উক্ত খোলা জায়গা তাদের নিজস্ব দাবি করে এবং বন বিভাগ কর্মীদের রোপণকৃত সকল গাছের চারা উপড়ে ফেলে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বন বিভাগ আত্মরক্ষার জন্য এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় বন বিভাগের অফিস সহকারী ওসমান গনি ও বাগান মালি লুৎফর রহমান আহত হয়।
এ ছাড়া স্থানীয় বসবাসরত নুরুল আমিন ও তার পরিবারের সদস্য সুফিয়া বেগম, সুরমা বেগম, রিনা পারভিন ও কিশোরী আহত হয়েছে বলে নুরুল আমিন অভিযোগ করেন।
অবস্থার অবনতিতে বন বিভাগের পক্ষে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আসে।
কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় উদ্যানে পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় আমরা গাছের চারা রোপণ করতে গেলে জায়গার কিছুদূরে বসবাসরত নুরুল আমিন বন বিভাগের রিজার্ভ জায়গাকে তাদের নিজস্ব জায়গা দাবি করে। এ সময় সে আমাদের রোপণকৃত গাছের চারা উপড়ে ফেলে দেয়। এবং মহিলা ও অজ্ঞাত ভাড়াটে লোকজন এনে বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা/কর্মচারীর ওপর হামলা করে। হামলায় বন বিভাগের ২ জন গুরুতর আহত হন। আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং জায়গার বিরোধ সমাধানে কাপ্তাই ৫৬ই বেংগল কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় স্ব-স্ব দাবির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য ডাকা হয়েছে।
এদিকে জমির দাবিদার মো. নুরুল আমিন জানান, উক্ত জায়গায় দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক উক্ত জায়গাটি তাদের নামে রায় দিয়েছেন এবং এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র আছে। এ জায়গা বন বিভাগের না। গাছের চারা রোপণ না করার জন্য বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের লোকজন হামলা করে তার পরিবারের সদস্যকে আহত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।