বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০১ পিএম
পটুয়াখালীর বাউফলে মাদকদ্রব্যসহ আটক ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বাবার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় স্থানীয় মাদক নির্মূল কমিটির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- কালাইয়া ইউনিয়ন বন্দরের বাসিন্দা মো. রশিদ ব্যাপারীর ছেলে মোহাম্মাদ সুমন, বক্কু ভূঁইয়ার ছেলে মো. মুরাদ হোসেন ও সোহবার হোসেনের ছেলে মো. আরিফ হোসন। তারা স্থানীয় মাদক নির্মূল কমিটির সদস্য।
আহতদের ভাষ্যমতে, কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সজল সাহার ছেলে সৌরিন সাহা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত এবং নিজেও মাদক (ইয়াবা) সেবন করেন। ঘটনার দিন রাতে কালাইয়া বন্দরের ধানহাট এলাকায় মাদকের (ইয়াবা) কারবার করার সময় সৌরিন সাহাকে হাতেনাতে আটক করে আহতরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য চেষ্টাকালে খবর পেয়ে সৌরিনের বাবা সজল সাহা তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে আটককারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আহত সুমন বলেন, ‘সৌরিন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। তার কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে। বিগত দিনে অনেকে তার কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। তার বাবা সজল সাহা তাকে মদদ দিয়ে থাকেন। মাদকসহ আটকের পর তার বাবার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
কালাইয়া বন্দর মাদক নির্মূল কমিটির প্রধান ও ইনকিলাব পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি মো. মাসুম সিদ্দিকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কালাইয়া বন্দর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ইতোমধ্যে একাধিক মাদকের আখড়া গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান সৌরিনকে মাদকসহ আটক করে মাদক নির্মূল কমিটির তিন সদস্য। পরে সৌরিনের বাবা দলবল নিয়ে ওই তিনজনের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সজল সাহা জানান, তার ছেলে মাদকে জড়িত না। কিছু দুষ্টু লোক তার ছেলেকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং মারধর করছেন। এমন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান। নিজের ছেলেকে বাঁচাতে ডাকচিৎকার করে সহযোগিতা চাইলে সাধারণ মানুষ আহতদের মারধর করে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।