খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা অফিস
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৬ পিএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মৎস্য খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় অধিগ্রহণে প্রশাসনের উদাসীনতা এবং দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় প্রশাসনের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা না এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সরকারি মৎস্য খামার ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর, শিক্ষার্থী আয়মান আহাদ, সাজ্জাদ ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
সমাবেশে সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ডিসিপ্লিনগুলোয় কোনো আদর্শ ক্লাসরুম, চেয়ার-টেবিল নেই। বিগত দিনে দেখেছি, অনেক প্রকল্প করতে যেখানে অনেক বছর সময় নিয়েছে, কিন্তু সেখানে মুজিবের ম্যুরাল তৈরিতে মাত্র চার দিন সময় নিয়েছে। এর মানে প্রশাসন চাইলে সবকিছু পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ একটি জরুরি বিষয়। প্রশাসন আগামী সাত দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে আমরা সরকারি মৎস্য খামার ভেঙে দখলে নেব।
সমন্বয়ক আয়মান আহাদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে নতুন করে আর কোনো ভবন নির্মাণ করারও জায়গা নেই। এমতাবস্থায় প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব না।
সমন্বয়ক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, জমি অধিগ্রহণে আমরা যদি প্রশাসনের কাজে সন্তোষজনক কোনো পদক্ষেপ না পাই, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আশায় বসে থাকবেন না। সামনে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, বর্তমানে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রশাসনে কোনো বিরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে ইতোমধ্যে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আগামী রবিবারের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দপ্তরসমূহের সঙ্গে কথা বলে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করে একটি চূড়ান্ত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।