জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২২ পিএম
জামালপুর শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের স্টাফকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে প্রায় দেড় ঘণ্টা শহরের ব্যস্ততম সড়ক পাঁচ রাস্তা মোড় অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তিনজনকে আটক করার পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলান্দহের মালঞ্চ এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে আসছিল একটি বাস। শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে আসার পর চার-পাঁচজন যুবক জোর করে বাসে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় বাসটির হেলপার কামালকে মারধর করে যুবকরা। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
বাসের হেলপার কামাল হোসেন জানান, বুধবার সকালে
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন বহিরাগত যুবক বাসে উঠতে চাইলে আমি তাদের বাধা দিই। পরে
আমি দুপুরে বাস নিয়ে শহরের পাঁচ রাস্তায় গেলে সেই বহিরাগত যুবকরা সংঘবদ্ধ
হয়ে আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিরব হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই ঘটনার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে
প্রতিবাদ জানাতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি শুরু করে।
পরে সবার মধ্য থেকে তারা আমাকে কলার ধরে নিয়ে যায়। এর পর নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়।
ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে আমাদের। তারা বলে আমাদের এখানে আর লেখাপড়া করতে দেবে না। তাদের
এসব কাণ্ডে আমাদের অনিরাপদ মনে হয়।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের আহ্বায়ক মো. আল মামুন সরকার জানান, স্থানীয়
কয়েকজন ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠতে গেলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের হেলপার তাদের
বাধা দেয়। বাধা দেওয়ার ফলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার
করে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা এই পাঁচ রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতে
এলে স্থানীয় বখাটে কিছু যুবক তাদের হুমকি দেয় এবং তাদের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা ঘটায়।
এমন হুমকি-ধমকি আমরা কখনই কামনা করি না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ
নেওয়া হবে।