খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে আকস্মিক ঝড় ও বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। ঝড়ের কারণে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় পুরো জেলা অন্ধকারে ডুবে যায়। পরে কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। বুধবারও চলে বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর প্রচণ্ড ঝড় বইতে শুরু করে, তার সঙ্গে বজ্রপাত। ঝড়ে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, বাস টার্মিনাল সড়ক, নিউজিল্যান্ড, আলুটিলা, অনন্ত মাস্টারপাড়া, নারানখাইয়া এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে এবং অনেকের ঘরের চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বজ্রপাতে আলুটিলার অচাইপাড়া এলাকায় ভুগীরণ ত্রিপুরা নামে একজনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পাহাড় থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়াও জেলার মহালছড়িতে বজ্রপাতে একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার
সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, হঠাৎ ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে
পড়ার খবরে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে যায়। এ সময় বাস টার্মিনাল এলাকা,
জেলা প্ৰশাসক কার্যালয়ের গাড়ি শেডের ওপর ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছগুলো সরিয়ে মোটরসাইকেল,
গাড়িগুলো উদ্ধার করি। জেলা সদরে বেশ কয়েকটি স্থানে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম উদ্ধার
কাজে নিয়োজিত ছিল।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ
বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, ঝড়ো বাতাস ও বজ্রপাতের কারণে
বিভিন্ন স্থানে গাছ, গাছের ডালপালা ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় গতকাল সন্ধ্যায়
বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছু জায়গায় সংযোগ তারও ছিঁড়ে যায়। জেলা শহরের
কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন চালু করা সম্ভব হলেও, ঝড়ে ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায়
অনন্ত মাস্টারপাড়া, ইসলামপুর, পেরাছড়াসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ চালু করতে
সময় লাগে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি সদরের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু
হলেও পানছড়ি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় গতকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি।
প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান
জানান, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতে গাছ পড়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারসহ
এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করছেন।