মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৬ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫০ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মাদ্রাসাছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই এলাকার মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার ও মো. রিয়াজ উদ্দিন। তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোন চার্জ করে দেওয়ার কথা বলে পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী রেনু মিয়ার মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে ফারুক। এরপর নিখোঁজের দুদিন পর আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন নিহত আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফারুক ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিয়াজউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখর চন্দ্র সরকার।