গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৩ পিএম
‘নয় বছরেও গাইবান্ধার তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার হয়নি, বাস্তবায়িত হয়নি কোনো আশার বাণী। নির্যাতনের শিকার আদিবাসী সাঁওতালরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) চত্বরে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালন সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। পরে মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে সাঁওতালরা জাতীয় ও কালো পতাকা, তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার, বিভিন্ন দাবিসংবলিত ফেস্টুনসহ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গানাসাস চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধা যৌথভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, অ্যাড. রফিক আহমেদ সিরাজী, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, পরিবেশবাদী নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাসদের জয়নাল আবেদীন মুকুল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিচিত্রা তির্কি, বিমল খালকো, গোলাম রব্বানী মুসা, প্রিসিলা মুরমু, সুফল হেমব্রম, থমাস হেমব্রম, মাথিয়াস মারডি, বৃটিশ সরেন, তৃষ্ণা মুরমু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মহিমাগঞ্জ সুগার মিল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান।