বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭ পিএম
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাতিজা রফিকুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন চাচা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কুমিল্লা আদালতে হত্যার ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চাচা মফিজুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে নিখোঁজের পর রবিবার (৩ নভেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে বেগুনক্ষেত থেকে রফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকালে চাচা মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম উপজেলার আবিদপুর উত্তরপাড়া পাটোয়ারীবাড়ির হাবু মিয়ার ছেলে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ‘মফিজুল ইসলামই রফিকুলের মৃত্যু নিয়ে ডাকাতির ঘটনা প্রচার করেন। সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাকে ফাঁসাতেই ডাকাতির নাটক সাজানো হয়। মফিজুল বলেছেন, ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে রফিকুলকে হত্যার পর লাশ বেগুনক্ষেতে ফেলে আসা হয়।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের সঙ্গে মফিজুল ইসলামের টাকা পয়সা নিয়ে লেনদেন ছিল। প্রতিপক্ষ আবুল খায়েরকে ফাঁসানোর জন্য মফিজুল ইসলাম তার ভাতিজা রফিকুলকে হত্যা করে নাটক সাজায়। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে চাচা মফিজুল ইসলামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর বিচারক মফিজুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।