পটুয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৬ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২১:১২ পিএম
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জমি লিখে না দেওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর যোগসাজশে পানিতে চুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধের নাম নুর ইসলাম হাওলাদার (৭০)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত সোহাগ স্থানীয় বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
স্থানীয়রা জানান,
নুর ইসলামকে তার বড় ছেলে মো. শাহজাহান ও পুত্রবধূ রুনু বেগম বাড়ি করার জন্য জমি লিখে
দিতে চাপ দেন। দাবি আদায়ে ইউপি সদস্যের সাহায্য নেন ছেলে ও ছেলের স্ত্রী। গতকাল বৃদ্ধ
নুর ইসলাম দক্ষিণ আদমপুর বাজারে চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় সোহাগ তাকে দোকান
থেকে টেনেহিঁচড়ে খালের পাড়ে নিয়ে যান। জমি লিখে দিতে বলেন। বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় সোহাগ
তাকে লাথি মারেন। এ সময় ইউপি সদস্যসহ তার সঙ্গে থাকা রিপন, রহিম বেপারী, শাহজাহান মৃধা
বৃদ্ধাকে কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় এবং লাথি মেরে আহত করেন। পরে তাকে কাইয়ুম ও মঞ্জু পানিতে
চুবিয়ে হত্যা করেন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এলে তারা পালিয়ে যান। কতিপয় এলাকাবাসী এসে
তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত
ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্মরত চিকিৎসক রাহুল বিন হালিম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই বৃদ্ধ মারা যান। দশমিনা
থানা-পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত নুর ইসলামের
মেয়ে কহিনুর বলেন, আমার বড় ভাই ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ বাবাকে জমি লিখে দিতে
বলে। তারা যে জমি চায়, বাবা তা দিতে রাজি নন। বাবা ওই জমি বিক্রি করে দায়দেনা শোধ করতে
চেয়েছিলেন। কিন্তু বড় ভাই ও ভাবি তা মানতে চায় না। এ নিয়ে বহুবার পারিবারিকভাবে বসেছি।
আমরা বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই। দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ
আবদুল আলীম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ
উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার
প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।