মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫৭ পিএম
কিশোরগঞ্জে এক গৃহবধূর গর্ভে জন্ম নেওয়া জোড়া মাথার একটি কন্যাশিশু আধঘণ্টা পর মারা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটির মাথা দুটি হলেও শরীর একটি এবং হাত ও পা দুটি।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জেলা
সদরের শোলাকিয়া এলাকার পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে দুই
মাথা নিয়ে শিশুটির জন্ম হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাত সাড়ে ১০টায় শহীদ সৈয়দ
নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক
সজীব ঘোষ পরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত পান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক হেলাল উদ্দিন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির
মাথা দুটি হলেও শরীর একটি, হাত-পা দুটি করে। দুটি মুখের একটির ওপরের ঠোঁট কাটা ছিল।
পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহিদ
ইসলাম জনি জানান, করিমগঞ্জের দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া মোড়লপাড়ার রাজমিস্ত্রি অলিউল্লাহর
স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ৩৮ সপ্তাহের গর্ভবতী অবস্থায় এখানে ভর্তি হন। পরে গতকাল শুক্রবার
রাত ৯টার দিকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত ১০টায় সিজার করেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিশেষজ্ঞ মোবাররা জাকারিয়া চৈতী। ভর্তির আগেই রোগীর
অবস্থা জটিল ছিল। শিশুটি জন্মের পর শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতার কারণে কিছুক্ষণ অক্সিজেন
দিয়ে রাখা হয়। কিছুটা স্বাভাবিক হলে পাঠানো হয় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায়।
এই দম্পতির আড়াই বছরের একটি ছেলে
সন্তানও রয়েছে। প্রথম সন্তানের জন্মও সিজারে হয়েছিল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের
গোরস্তানে শিশুটির দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, জিনগত সমস্যার কারণে এমন শিশুর জন্ম হতে পারে।
এজন্য প্রত্যেক প্রসূতিকে গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে একটা পরীক্ষা করানো উচিত।