সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০০ পিএম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৮ পিএম
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালী এলাকায় সেনাসদস্যদের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার খলিশাখালী এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে। শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে খলিশাখালীর মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছয়জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজীর ছেলে রবিউল আউয়াল ও বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মাদ জানান, খলিশাখালীতে ১ হাজার ৩২৮ বিঘা মৎস্যঘের নিয়ে বহু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সুযোগে সন্ত্রাসীরা খলিশাখালীতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিশাখালীতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি হাতবোমা, ৩০টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক বলেন, ‘অভিযানকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা ও ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি দূর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দা কামরুলসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে পিটুনি দেয়। সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহত কামরুল একজন দাগী অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। আটককৃত অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত কামরুলের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন দাবি করেছেন, মালদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের লোকজন তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অভিযোগ সম্পর্কে আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।