চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৩ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৫ পিএম
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আব্দুল হান্নানকে। ১৩ দিন চিকিৎসার পর মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় ১২ অক্টোবর নিহত হান্নানের ভাই আবদুর রশিদ নাচোল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটিতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আটজনকে আসামি করা হয়।
হান্নান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরের সায়েদ আলীর ছেলে। তিনি পল্লী চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি কাপড়ের দোকান চালাতেন। ওইদিন বৃষ্টিতে সড়কে যানবাহন কম থাকায় উপজেলার মোমিনের মোড় থেকে বাড়ির উদ্দেশে হেঁটে রওনা হন তিনি। মোড়ের অদূরেই গুরুতর আহত অবস্থায় দেখা যায় তাকে।
ওই এলাকার বাসিন্দা পানু ইসলাম বলেন, ‘বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দেখলাম যে, আব্দুল হান্নানকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিচ থেকে উদ্ধার করছেন তিন ব্যক্তি। তাদের সাহায্য করি আমি। রিকশাচালক আব্দুর রাজ্জাক এবং দুজন যাত্রী হান্নানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে তার স্বজনদের জানানো হয়।’
তিন ব্যক্তি আড়ালে
যে দুই ব্যক্তি হান্নানকে উদ্ধার করেন, এলাকায় একাধিকবার গিয়ে এবং ফোনে খোঁজ নিয়ে তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি। পুলিশও খুঁজছে এই দুই ব্যক্তিকে। তারা হলেনÑ পাহাড়পুরের বাসিন্দা কবির আলীর ছেলে সোহাগ আলী ও মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে নাসিম আহমেদ। এলাকাবাসী বলছেন, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার বাইরে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জবানবন্দি দিলে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন আর মামলা টিকবে না।
রিকশাচালকের জবানবন্দি
হত্যা মামলার পর পুলিশ ২নং আসামি এত্তার আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর পর তদন্তে নামে। তদন্তের পর অটোরিকশাচালক রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজ্জাক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাচোল থানার এসআই দেওয়ান মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে নিহতের পরিবার একটি অভিযোগ দিয়েছিল। সেখানে হত্যার অভিযোগ ছিল না। তাতে ছিল জখমের কথা। বারবার এজাহার দিতে বলা হয়। তারা দেয়নি। আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর পর তারা এজাহার দেয়। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তে যা সত্য প্রমাণিত হবে তা-ই প্রতিবেদনে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এখনও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাবে।