চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চৌদ্দ বছর আগে আমদানি করা চার কন্টেইনার অতি দাহ্য সোডিয়াম গ্লাইচেরোলেট বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বারবার তাগাদার প্রেক্ষিতে সোমবার চার কন্টেইনারে থাকা ৯৩ টন সোডিয়াম গ্লাইচেরোলেট নিলাম দরদাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। অতি দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্যের চালানটি খালাসের ফলে বন্দরের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণে গত ১ থেকে ৩ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বন্দর পরিদর্শন করেন। ওই সময় ১৪ বছর আগে আমদানি করা চার কন্টেইনার দাহ্য পণ্য নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান শঙ্কা প্রকাশ করে পণ্যগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরে এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস দ্রুত খালাসের তৎপরতা শুরু করে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারক ও চেষ্টায় পণ্যগুলো নিলাম দরদাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নিলাম দরদাতা মেসার্স এসএ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানির কাছে পণ্য চালানটি খালাস দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, অতি দাহ্য এই সোডিয়াম গ্লাইচেরোলেট ২০১২ সালে আমদানি করা হয়। পণ্যগুলো খালাসের জন্য বারবার নিলামের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে দীর্ঘকাল নিষ্পত্তি হয়নি। পণ্যগুলো অতিদাহ্য পদার্থ হওয়ায় এগুলো খালাস করতে না পারলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।