সুন্দরবনের দুবলার চর
খুলনা অফিস
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫২ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১৪ পিএম
ফাইল ফটো
সুন্দরবনের দুবলার চরে ১৪ নভেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী রাসমেলা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী রাসমেলায় দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় থাকবে যৌথ বাহিনী, আসা-যাওয়ায় থাকছে পাঁচটি রুট।
বুধবার সুন্দরবন বিভাগের যৌথ সভায় এ
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের ডিএফও মো. সারোয়ার আলম।
তিনি জানান, রাস উৎসবে
আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য পাঁচটি রুট অনুমোদন করা হয়েছে। রুটগুলো বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে
বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে
শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং
বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
তিনি আরও জানান, ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর এ তিন দিনের মেলায় প্রবেশে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি এবং
লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায় করে পাস
দেওয়া হবে। প্রতিটি অনুমতিপত্রে রুট উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত নৌযান শুধু দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বন বিভাগের চেকিং
পয়েন্ট ছাড়া কোথাও লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা থামানো যাবে না। ট্রলারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইভ জ্যাকেট বা বয়া সংরক্ষণ করতে হবে। সুন্দরবনে প্রবেশকালে প্রতি তীর্থযাত্রী ও পুণ্যার্থীকে একটি করে টোকেন প্রদান করা হবে।
খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনের দুবলার চরে দুই শতাধিক বছর
আগে থেকে রাসমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রাসপূর্ণিমা
পুণ্যস্নানের সময় কোনো
বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুণ্যস্নান স্থলে মাইক বাজানো,
পটকা, বাজি ইত্যাদি ফোটানোসহ সকল প্রকার
শব্দদূষণ নিষিদ্ধ। রাসপূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি
চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্রের মূলকপি সঙ্গে রাখতে হবে।