মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৯ পিএম
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে টাকা ছিনিয়ে নিতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বাবাকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেসহ তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। তার তিন বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া, কসাই নজরুল ইসলাম এবং রাজমিস্ত্রি সুমন মিয়া।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে সুলতানপুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা গলা কাটা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নিবু মিয়া বাজিতপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে। সে দিনই নিহতের ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার পর পুলিশের একটি দল প্রযুক্তিগত ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজার এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নিহত নিবু মিয়ার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে বাবাকে জবাই করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন ছেলে সোহেল মিয়া। তারা স্বীকারোক্তি দেয়- নিবু মিয়ার সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকার জন্য তাকে হত্যা করেছেন তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, এক বছর আগে নিহত নিবু মিয়া জমি বিক্রি করেন ২১ লাখ টাকা। সেই টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তার ছোট ছেলে সোহেল মিয়াকে বিদেশে পাঠায়। কিন্তু সোহেল বিদেশে থেকে ছয় মাস পর দেশে চেলে এসে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। সংসার চালাতে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পুরোনো অটোরিকশা কেনেন সোহেল। কিন্তু সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির আরও যে টাকা ছিল তা তাকে দেওয়ার জন্য বলে। এই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তাই নিবু মিয়া টাকাগুলো তার সঙ্গে সঙ্গে রাখতেন। ঘটনার দিন তার বাবার কাছ থেকে টাকাগুলো নেওয়ার জন্যই সে তার বন্ধুদের নিয়ে তার বাবা নিবু মিয়াকে জবাই করে হত্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন এবং টাকার জন্য নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া তাদের নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জবানবন্দিতে জানায় বাবুল।