× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন

৬২ বছর ধরে এক কক্ষে পরিষদের কার্যক্রম

সাইফুল ইসলাম, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৫ পিএম

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৫ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। প্রবা ফটো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। প্রবা ফটো

নানা সমস্যায় জর্জরিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ। গত ৬২ বছরেও পরিষদ পায়নি এর নিজস্ব ভবন। আর সবিবের পদ শূন্য রয়েছে ১৫ বছর ধরে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। 

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৩ সালে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হলেও স্বাধীনতার আগে ১৯৬২ সালে একই এলাকার বাসিন্দা ধীরেন্দ্র নাথ ১৮ শতক জমি দান করেন। ওই জমিতে একই বছর এক তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মিত হয়। সেই ভবন অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই দায়িত্ব পালন করছেন চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। 

জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মধ্যে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া সবগুলোই পেয়েছে আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন। এসব ভবনে গ্রাম আদালত, গুদাম, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দপ্তর থাকার কথা। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘসময়েও এই দুই ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়নি আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন। 

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ ঢাকা, সিলেট ও ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের সংযোগস্থলে অবস্থিত। মিলকারখানা থাকায় এখানে শ্রমিক ও ভাড়াটিয়া বাসিন্দার সংখ্যা স্থায়ী বাসিন্দাদের চেয়ে তিনগুণ বেশি। কিন্তু এখানে পর্যাপ্ত জমি না থাকার অজুহাতে কোনো সরকারই আধুনিক ভবন করে দেয়নি। এতে আগের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। তবে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পাশে একটি জমি রয়েছে। ওইখানে ভবন হওয়ায় উপযুক্ত জমি রয়েছে। তার পরও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দুঃখজনক।’

সাওঘাট এলাকার রোমান ভূঁইয়া বলেন, ‘গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পরিষদের পরিপূর্ণ ভবন না থাকাটা দুঃখজনক ব্যবহার। দ্রুতসময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’ 

গোলাকান্দাইল ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মাহমুদ বলেন, ‘একদিকে ভবন নাই, অন্যদিকে সচিব নাই গত ১৫ বছর ধরে। ফলে সেবা পেতে আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। ভুলতা ইউনিয়নের সচিব সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন। তাতে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাই না।’ 

এসব বিষয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসির মিয়া বলেন, ‘১০ বছর ধরে এ ইউনিয়নের সেবায় যুক্ত রয়েছি। তবে বর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর উপলব্ধি করছি এখানে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি রয়েছে। একদিকে ভবন ৬২ বছরের পুরোনো। তাই আমরা চেয়ারম্যান, মেম্বাররা ঝুঁকি নিয়ে অফিস করি। সীমানাপ্রাচীর নাই। এতে মাদক কারবারিরা মাঠে, বারান্দায় আড্ডা দেয়। অনেক সময় চুরি করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি গত ১৫ বছর আগে আমলে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে শফিকুল ইসলাম নামের সচিবকে অপসারণ করা হয়। এরপর থেকে এ ইউনিয়নে সচিব নেই। ফলে পাশের ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন। তাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।’ 

ভবন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জমি যা আছে তাতেই আধুনিক ভবন হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছি। ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করলেও এর ফল পাচ্ছি না।’ 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাকান্দাইল ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স ভবন হয়নি বলে জেনেছি। এটি হওয়ার জন্য যা যা করা যায় করব। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিই বিষয়টি সমাধান করব।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা