কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৭ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতের নৌবাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত। প্রবা ফটো
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতের নৌবাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে একটি বার্জের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন। তিনি জানান, কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর। বুধবার রাত ২-৩টার সময় ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচন্ডতায় জেটির সঙ্গে বাঁধা একটি ছোট বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙে গেছে।
জেটিঘাটের চা দোকানী আবদুল মাজেদ জানান, বার্জটি জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এসময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না। এমনকি রাত ২-৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।
জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানান, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কি জানি কাজ করছিল। এসব নৌযান গুলো সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌমহড়া অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী জেটিটি নির্মাণ করেছিল। এটি দীর্ঘ সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মাণের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল।
এমনকি ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রীটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলেন জেটি অপসারণের জন্য। ফোরাম সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।
এদিকে গত বছর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক জাহাজ আসা যাওয়া করছিল উক্ত জেটি দিয়ে। পহেলা নভেম্বর থেকেও জেটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল জাহাজ কোম্পানীগুলোর পক্ষ থেকে।