খুলনা অফিস
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৫ পিএম
বৃষ্টিতে প্লাবিত অনেক এলাকা। প্রবা ফটো
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার ও বৃহষ্পতিবার দুই দফায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটর সভা করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কিল্লা। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ থাকতে পারবেন। প্রস্তুত রয়েছে পাঁচ হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবক।
বৃহষ্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব মোকাবেলা বিষয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার, ঔষধ, ও নগদ টাকা। প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।’
এছাড়া জেলার ৪টি উপজেলায় উপকূলীয় বেড়ীবাধের প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই বাঁধগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে।
এদিকে, দানা’র প্রভাবে বৃহষ্পতিবার ভোর রাত থেকে খুলনাসহ উপকুলীয় অঞ্চলের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে খুলনা মহানগরীর নিন্মাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বেশি পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের র্কমকর্তা মো. আমিরুল আজাদ।