চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৩ পিএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়েছে তিন গ্রাম। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রাহক। স্থানীয়রা বিদ্যুতের সংযোগ খুঁটি ও তার সরিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য নিরাপদ দূরত্বে খুঁটি বসিয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সদিচ্ছার অভাবের কারণে সংযোগ দেওয়া হয়নি বলে দাবি তাদের। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তাদের না জানিয়ে খুঁটি সরানোয় লাইনের সংযোগ আটকে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবমেরিন কেবল ব্যবহার করে উপজেলার জোড়গাছ ঘাট থেকে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে চর শাখাহাতীতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল কোটি টাকার ওপরে। চার মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী, গয়নার পটল ও শহিদুল মিস্ত্রির গ্রাম ১৭ দিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙনে বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটিও নদীর সন্নিকটে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে পাঁচটি খুঁটি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বসিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, নদীতে ভাঙনের মুখে পড়ায় এলাকার লোকজন একত্র করে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, নুর বক্ত, জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার পর থেকে সোলারের ব্যবহার কমে গেছে। হঠাৎ করে ভাঙনের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে ১৭ দিনেও সংযোগ পাইনি। এতে অনেক সমস্যা হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিস একটু সহযোগিতা করলে সংযোগ পেতাম।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলছি, তারা শুধু বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিনিয়ার ফোন ধরে না।
চিলমারী জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. আলামিন বলেন, তারা নিজে নিজে লাইন নতুন করে নির্মাণ করেছে। তাহলে নতুন পাওয়ার প্লান্ট করে বিদ্যুৎ নিয়ে নেক! এটা তো আমাদের রুলস ও রেজুলেশনে পড়ে না। এখন লাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।