রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৫ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
হারাধন রায় হারা।
রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর
হারাধন রায় হারা হত্যা মামলা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের
বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারে মেট্রোপলিটন পুলিশকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে তারা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও
কর্মসূচি দিলেও পরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা স্থগিত করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকার
বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা মামলাটি
প্রত্যাহারে আশ্বস্ত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার সামনে সংবাদ সম্মেলনে
সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ,
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ওইদিন হারাধন রায় হারা নিজেই পিস্তল
দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালান। ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায়
কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা মারা যান। ওই ঘটনায় হারাধন রায়ের স্ত্রী কনিকা রানী গত ২
অক্টোবর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয়
৪০০ থেকে ৫০০ জনকে।
তিনি বলেন, ওই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মধ্যে আমরাও ছিলাম। তাই জুলাই-আগস্ট
বিপ্লবে মাঠে থাকা ছাত্র-জনতার নামে কোনো মামলা হতে পারে না। তাই আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে
মামলা প্রত্যাহার ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না
হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, হারাধন
রায় হারা হত্যা মামলার একজন বাদী রয়েছে। এটি প্রত্যাহার করলে বাদী করবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দুপুরে সুপার মার্কেট থেকে সিটি বাজার পর্যন্ত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সশস্ত্র
হামলা চালায়। এতে পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন
রায় হারাসহ চারজন নিহত হন।