রাজবাড়ী
শাখাওয়াত হোসেন সোহান, রাজবাড়ী
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৩ পিএম
পৌরসভার হাসপাতাল সড়কের চিত্র। শুক্রবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সামনে। প্রবা ফটো
সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাজবাড়ী পৌরসভার বেশিরভাগ সড়ক। সড়কগুলোতে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার অন্তত দুই লাখ বাসিন্দাকে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে রাজবাড়ী পৌরসভার পাবলিক হেলথ-হাসপাতাল সড়ক, শহরের প্রধান সড়ক, এতিমখানা সড়ক, বিনোদপুর সড়ক, সোনাকান্দর সড়ক, ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি সড়ক, ভবানীপুরসহ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কগুলোর বিটুমিন আর খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আর খানাখন্দে জমে আছে বৃষ্টির পানি। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারী।
রাজবাড়ী পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাবলিক হেলথ-হাসপাতাল সড়ক ও এতিমখানা সড়কটি ২০১৫ সালে একবার মেরামত করা হয়। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি ওই দুই সড়কে। সড়ক দুটি দিয়ে বালুবাহী ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পৌরসভার বেশিরভাগ সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও অর্থছাড় না পাওয়ায় তেমন কোনো কাজ হয়নি দীর্ঘদিন।
এসব সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, রিকশাসহ ছোট যানবাহনের চালকদের।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক হাসান আলী মোল্লা বলেন, ‘পৌরসভার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হলেও মেরামতের জন্য নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে যাত্রীরা।’
যাত্রী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের এই বেহাল দশায় বাড়ছে ভোগান্তি। পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অপরিকল্পিত মেরামতের কারণেই পৌরসভার সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার এই দশা। দ্রুতসময়ের মধ্যে সড়কগুলো মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জোর দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএস মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পৌরসভার ১০৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৬৮ কিলোমিটারই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দুয়েক মাসের মধ্যেই সড়কগুলোর মেরামতকাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’