জয়পুরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৫ পিএম
নিহত আজমল হোসেন।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৫ দিনের সাজাভোগের পর কারাগার থেকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহতের নাম আজমল হোসেন। তিনি বিষ্ণুপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
দুই সন্তানের জনক আজমল হোসেন পেশায় একজন মৎস্যচাষি ছিলেন। তিনি তিলকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন বলে জানান ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দিপু।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদকসেবন করায় তার বাবা তাকে ধরিয়ে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠান। বাবার প্রতি অভিমান থেকে তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার দাফন হয়েছে।
গ্রামবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজমল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। পরিবারের লোকজন বারবার চেষ্টা করেও তাকে সুস্থ জীবনে ফেরাতে পারেনি। অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২ অক্টোবর বাড়িতে মাদকসেবনের সময় তার পরিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকদের খবর দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১৫ দিনের সাজা দেওয়া হয়। গত বুধবার আজমল কারাগার থেকে বাড়িতে ফিরে একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বিকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান। সন্ধ্যার পর ডাকাডাকির পর ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
আজমল হোসেনের ভাতিজা নাঈম হোসেন বলেন, আমার চাচা মাদকাসক্ত ছিলেন। বাড়িতে মাদকসেবনের সময় পরিবারের সম্মতিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার ১৫ দিনের সাজা হয়েছিল। সাজাভোগ শেষে বুধবার সকালে বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির একটি ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেন।
তিলকপুরের ইউপি সদস্য আতাবুল ইসলাম বলেন, আজমল মাদকাসক্ত হয়ে নিজের জীবন শেষ করলেন। ১৫ দিনের সাজাভোগ শেষে বাড়িতে এসেছিলেন। আর ওই দিনই আত্মহত্যা করেছেন।