শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০২ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৩ পিএম
প্রায় ২০ বিঘা জমিতে রামপদ বিশ্বাস লাগিয়েছেন বারোমাসি ভিয়েতনামি মাল্টা ও কমলার গাছ। সারি সারি গাছে ঝুলে থাকা মাল্টা ও কমলা দেখে যেকোনো পথচারী থেমে যেতে বাধ্য। এক অসাধারণ মনোরম দৃশ্য। প্রতি গাছে এক থেকে দুই মণ মাল্টা ও কমলা লেবু উৎপাদন হবে এ বছর। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে তোলা হয়েছে কয়েকবার। খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হতে পারে বলে রামপদ জানান।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চণ্ডীবর গ্রামের পাকা রাস্তার পাশেই রামপদ বিশ্বাসের এ বাগান। তিনি জানান, ২০১৮ সালে প্রথমে বারি-১ মাল্টা ও কমলা লেবুর প্রায় ২ হাজার ২০০ গাছ লাগান। কিন্তু চার বছর চাষাবাদের পরও তেমন ভালো ফলন না হওয়ায় আগের গাছ সব কেটে দেন। পরে ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চুয়াডাঙ্গা এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত উন্নত মানের বারোমাসি ভিয়েতনামি চারা রোপণ করেন। রোপণের ছয় মাসের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। দ্বিতীয় বছরেই প্রতি গাছে এক থেকে দুই মণ মাল্টা ও কমলা ধরেছে। সেগুলো বাজারে বিক্রি হওয়া মাল্টার চেয়েও আকৃতিতে বড়।
তিনি আরও জানান, জৈব সারের পাশাপাশি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি গাছে এক থেকে তিন কেজি সার ব্যবহার করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে নানা ধরনের কীটনাশক ও ভিটামিন স্প্রে করা হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সার ব্যবহারের কারণে ফলগুলো বেশ পুষ্ট হয়েছে। গ্রীষ্মকালের জন্য রয়েছে সেচের ব্যবস্থা। বাগান দেখতে বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসেছেন। তারা খুশি হয়েছেন এ বাগান দেখে।
রামপদ বিশ্বাসের ছোট ভাই ব্যবসায়ী সুকুমার বিশ্বাস বলেন, অনেকটা সখের বশেই বাগানটি করা। এলাকার লোকজন আম, জাম, কাঁঠাল লিচু প্রভৃতি ফলের বাগান দেখেছে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া মাল্টা বা কমলা লেবু কীভাবে গাছে ধরে বা তুলতে হয় তা দেখেননি। তাই ইচ্ছা হলো এসব ফল চাষের। এলাকার মানুষ দেখবে, নিজ হাতে ছিঁড়ে খাবে। এটার মধ্যে আলাদা একটা তৃপ্তি আছে।