নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৬ পিএম
সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশের মাটি ধসে যায় বেশ কয়েক মাস আগেই। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে ধসে যাওয়া মাটি ভেসে যায়। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়া এলাকার রসুর (লইচ্ছা) সেতুর চিত্র এটি।
এদিকে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনসহ পথচারীরা প্রতিনিয়ত সেতুটি পারাপার করলেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর কাড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অবিলম্বে সেতুটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ছাদু মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে ও বালুবোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকার ঢেউয়ে এখানকার বসতবাড়িসহ সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়ক মহাদেও নদের গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারি বালুমহাল বিলুপ্ত করে ইজারা বাতিল হওয়ার পরও এখানে দিনেরাতে অবৈধভাবে বালুখেকোরা বালু উত্তোলন করছে। বিশেষ করে বসতভিটার সামনের জায়গাসহ নদ থেকে হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক শতাধিক ছোটবড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায় তারা।
জেলা এলজিইডি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০০০ সালে নির্মিত হয় রসুর সেতু। প্রায় ছয় মাস আগে সেতুটির উভয় পাশের সংযোগ সড়কের নিচের অংশের মাটি ধসে যায়। এরপর সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মাটি ভেসে গিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের ঝুঁকি নিয়েই করতে হচ্ছে সেতু পারাপার।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কলমাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বন্যায় উভয় পাশের সংযোগ সড়কের নিচের অংশের মাটি ধসে পড়ায় ঝুঁকিতে পড়ে সেতুটি। সেতু পারাপারকারীদের সতর্ক করতে আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ একটি সংকেত ব্যবহার করা হবে। এ ব্যাপারে সংস্কারের একটি প্রস্তাবনাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।