টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৬ পিএম
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫২ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে তালা।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগী ও স্বজনরা ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটেও তালা দেওয়া হয়। পরে দিনব্যাপী কর্মস্থলে চিকিৎসক ও কর্মচারীসহ স্টাফদের দেখা যায়নি।
এদিকে হাসপাতালে বহির্বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় সব চিকিৎসক নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবহান ও আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। এর আগে টিএইচও আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে এসে দেখি গেটে তালা ঝুলছে। ভেতরে কেউ নেই। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেব সেখানেও শত শত মানুষের ভিড়।
হাসপাতালের স্টোরকিপার খন্দকার রানা মিয়া বলেন, ১৩ অক্টোবর দুজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের চিঠি নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও এবং আরএমও অপসারণের দাবিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগসহ অন্যান্য গেটে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে এক চিকিৎসক জানান, বহির্বিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাধা দেয় এবং হামলার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করি। আমরা নিরাপত্তা চাই।
টিএইচও আব্দুস সোবাহান বলেন, কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছে। যারা আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবেন।