মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১০ পিএম
নিহত শিশুদের স্বজনদের আহাজারি। প্রবা ফটো
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ডোবায় শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের কয়রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের প্রবাসী মো. রুবেল কাজীর মেয়ের আনহা আক্তার ও একই ইউনিয়নের খরসতাই গ্রামের মো. রফিকের মেয়ে সিনহা আক্তার। তারা দুজন কয়রা গ্রামের মাদ্রাসাতুল ওহি-আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী এবং দুইজনই বান্ধবী ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ি থেকে একসঙ্গে মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে যায় ওই দুই শিশু। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শেষে আনহা আক্তারের বাড়িতে পোশাকসহ পরীক্ষার হার্ডবোর্ড রেখে চার থেকে পাঁচজন শিশু মিলে কয়রা গ্রামের মাদ্রাসার কাছের একটি ডোবায় শাপলা তুলতে যায়। এ সময় দুই শিশু ডোবার পানিতে তলিয়ে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরে এ ঘটনা জানায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা সিনহা ও আনহাকে উদ্ধার করেন। অচেতন অবস্থায় শিশু আনহাকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শিশু সিনহাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশু আনহার দাদা আবদুল হালিম বলেন, আমার নাতনি আজকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় যায়। পরীক্ষা শেষে বাড়ি না আসায় চিন্তাই পড়ে যাই। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনতে পারি আমার নাতনি শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে পড়ে গেছে। নাতনি বাড়িতে ঠিকই এলো; কিন্তু জীবিত না, লাশ হয়ে।
কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন খান বলেন, কয়েকজন শিশু মিলে কয়রা চকে শাপলা ফুল তুলতে গিয়েছিল। যেখানে ফুল তুলতে ছিল তার পাশেই একটি ডোবা আছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখানে ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছিল। ফুল তুলে ফেরার সময় হয়তো পাশের ডোবায় শিশু দুটি পড়ে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত শিশুদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।