শেবাচিমে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫৭ পিএম
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মেডিসিন বিভাগ চালু হতে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালের ভবন পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের পেছনে একটি বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের স্টোর রুমে সংরক্ষিত তুলায়। এ সময় পাঁচতলাবিশিষ্ট মেডিসিন ভবনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সজিব নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হাসপাতালের পেছনে ধোঁয়া দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি বিদ্যুতের তারে আগুন লেগেছে। এরপর বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আগুন স্টোর রুমে থাকা তুলায় ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। এদিকে হাসপাতালের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র অচল থাকায় ক্ষোভ জানান কর্মী ও রোগীদের স্বজনরা।
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. ইমরুল কায়েসকে।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সবার সহযোগিতায় ভবনে থাকা রোগী, তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর আমাদের কাছে নেই। বর্তমানে ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার কাজটি পরিচালনা করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে রোগীদের সেবা শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিসিন ভবনটিতে রোগীদের পুনর্বাসন করতে সময় লাগবে। অন্তত তিন দিন সময় প্রয়োজন। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা ছাড়া বাকি ফ্লোরগুলো রোগীদের সেবার জন্য চালু করা সম্ভব হবে। নিচতলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগবে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কী কারণে আগুন লেগেছে তদন্ত করে দ্রুত জানানো হবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচতলা ভবনটিতে মেডিসিন বিভাগের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১০টি ইউনিট ও ডেঙ্গু ওয়ার্ড রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৭০ জন ডেঙ্গু রোগীসহ ৫৪৩ জন রোগী ছিল ভবনটিতে। এ ছাড়া রোগীদের স্বজন, নার্স, চিকিৎসক, স্টাফরাও সেখানে ছিলেন।