বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৭ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমান্ত একালায় ২৮টি পূজা মণ্ডপে বিজিবির নিরাপত্তায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রবা ফটো
বিজিবির কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমান্তের ৮ কি. মি.) ২৮টি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
এর মধ্যে রবিবার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলাধীন শংকুচাইলের স্বর্গীয় ভারত চন্দ্র রায়ের বাড়ি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক পিএসসি, এসি লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সতীস রায় বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর থেকে পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে বিজিবির টহল দল নিয়মিত রেকি ও পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় পূজা মণ্ডপগুলোতে কোন প্রকার হুমকি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। সকল সনাতন ধর্মালম্বীরা এবারের পূজায় বিগত বছরের তুলনায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পেরে বিজিবির প্রতি শতভাগ আস্থা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজিবি সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে দৃশ্যমানভাবে মোবাইল নম্বর সম্বলিত বোর্ড প্রদর্শন, কিছু কিছু মণ্ডপে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় সিসি টিভি স্থাপন ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা অব্যাহত থাকার কারণে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি রোধ করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল ৬০ বিজিবি। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিজিবি। এরূপ কার্যক্রমে সকল হিন্দু ধর্মালম্বীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এবারে পূজায় বিজিবির ভূমিকা ছিল খুবই আন্তরিক ও সত্যিই প্রশংসনীয়।’
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা পূজা সকলেই একত্রে আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পেরেছেন। পূজা অর্চনা সুন্দর ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে সম্পন্নের ব্যাপারে বিজিবি কর্তৃক সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকলের সহযোগীতামূলক মনোভাবের কারণে নির্বিঘ্নে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ৬০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টারর সহকারি পরিচালক মো. মতিউর রহমান, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্লাটুন কমান্ডার, সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সতীশ রায় ও পূজা উদযাপন কমিটিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।