লালপুর (নাটোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১২ পিএম
নাটোরের লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার মধ্যবর্তী ভবানীপুর বিল। প্রবা ফটো
নাটোরের লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার মধ্যবর্তী ভবানীপুর বিলে জলাবদ্ধতায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ দখলের ফলে বর্ষা মৌসুমে বিলটির পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি খালের অস্তিত্ব না থাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাশন
না হওয়ায় শত শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে
কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবানীপুর বিল থেকে পানি নিষ্কাশনের
জন্য খালটি উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিম মণ্ডলপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে খলিষাডাঙ্গা নদীতে
গিয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম সীমানার অংশ খনন করা হয়।
তবে লালপুর সীমানায় থাকা খালের অংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে স্থাপনা
নির্মাণ করায় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভবানীপুর-আটঘরি মাঠের প্রায়
১ হাজার ৬০০ বিঘা জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও কৃষক আমিরুল
ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও খাল সংস্কার বা খনন না করায় প্রতিবছরই হালকা
বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি সংস্কার করা হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার বিঘা
ফসলের জমি ও বসতভিটা রক্ষা পাবে। বিষয়টি সমাধানে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
করেন তিনি।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে গতকাল শনিবার
দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
মেহেদী হাসান ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,
সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হবে।