× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নেত্রকোণা বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ৮ কোটি টাকা

নেত্রকোণা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪০ পিএম

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫২ পিএম

নেত্রকোণা বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ৮ কোটি টাকা

উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় নেত্রকোণায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও কাটছে না পানিবন্দি মানুষের নানা রকম সংকট। ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বন্যার পানিতে জেলার ৫টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৩০টি ফিশারি, পুকুর ও মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে এসব জলাশয়ের ৭৪১ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা। সরকারি হিসাবে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ের পরিমাণ ৮৪ হাজার ১৬৫ হেক্টর। এতে মাছ উৎপাদন হয় প্রায় ১ লাখ ১০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ছোট-বড় ৮৯টি হাওরে ৪০ শতাংশ, খাল-বিল ও নদ-নদীতে ১৫ শতাংশ মাছ উৎপাদিত হয়। বাকি ৪৫ শতাংশ মাছ পুকুরে চাষ করা হয়। জেলায় মোট পুকুরের সংখ্যা ৬০ হাজার ১০২টি। মাছচাষির সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৩৮ জন। জেলাটিতে উৎপাদিত মাছের অর্ধেকই উদ্বৃত্ত থাকে। তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। 

জেলা মৎস্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, বন্যাদুর্গত এলাকায় মৎস্য সম্পদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২৫৭ দশমিক ৫৯ হেক্টর জমিতে থাকা অন্তত ১ হাজার ৭৩০টি ফিশারি, পুকুর ও খামারের ৭৪১ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এ কারণে প্রায় ৯০০ জন মাছচাষি প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসেবে শুধু মাছেই তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। 

এ ছাড়া ভৌত অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে আরও ১ কোটি টাকারও বেশি। তবে চাষিদের দাবি, মৎস্য সম্পদের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকারও বেশি হবে।

সূত্র মতে, বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মৎস্যচাষিদের ক্ষতি বেশি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলায়। সদরের ৩টি ইউনিয়নের ৯৬০টি পুকুরের ৩১০ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকারও বেশি। পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক মৎস্যচাষি।

জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আমতৈল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে আমি আমার ফিশারি ও পুকুরে মাছ চাষ করেছিলাম। বন্যার ভয়ে পুকুরের পাড়ে নেট (জাল) দিয়ে বেড়াও দিয়েছিলাম। বন্যার পানির স্রোত সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবং পুকুরের পাড়গুলোও ভেঙে গেছে। চোখের সামনে আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার হাওরের এক একর জমির ফিশারিতে ২ লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছিলাম। কিন্তু বন্যায় সব ভেসে গেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবির বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হবে ।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে কৃষি, মৎস্যসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং থাকব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা