মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম, হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৪ পিএম
ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত দিনাজপুরের হাকিমপুরের নারী উদ্যোক্তা আরমিন আক্তার পলি। প্রবা ফটো
দিনাজপুরের হাকিমপুরের নারী উদ্যোক্তা আরমিন আক্তার পলি। তার ছাদবাগান নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর। প্রায় ৩০০ প্রজাতির ফল, ফুল, সবজি ও ঔষধি গাছ রয়েছে তার বাগানে। পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের চাহিদা মিটিয়েও বাজারজাত করছেন তিনি। তার এই সফল ছাদবাগান দেখে অনেকেই উৎসাহী হয়ে উঠছে।
সাত বছর আগে কয়েকটি ফুল আর ফলের গাছ লাগিয়ে ছাদবাগান শুরু করেন এই নারী উদ্যোক্তা। বর্তমানে মাল্টা, কমলা, লিচু, মিষ্টি আমড়া, তেঁতুল, ডালিম, পেয়ারা, ড্রাগন, কামরাঙা, পেঁপে, জলপাই, কাঠবাদাম, আঙুর ফল, জাম্বুরা ফলের গাছ; এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ফুল, পাতাবাহার এবং সবজি পুঁইশাক, কলমিশাক, শিম, টমেটো ও বেগুনসহ তিন শতাধিক গাছ রয়েছে এই ছাদবাগানে।
বাগানটির সব গাছ টবে লাগানো। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সব টব এই নারী উদ্যোক্তা নিজের হাতে তৈরি করেন। তার, সিমেন্ট, বালু ও ইটের গুঁড়ায় তৈরি এসব টব নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রিও করেন তিনি। তাতে আলাদা মুনাফা হয়। নিজেকে স্বাবলম্বী করতে তার এই প্রচেষ্টা। বাগানটি এক নজর দেখতে ছুটে আসছেন অন্যান্য নারী উদ্যোক্তাসহ এলাকাবাসী।
হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার সাধারণ সম্পাদক রোমেনা আক্তার মনি বলেন, আমরা নারীরা পিছিয়ে নেই, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি উদ্যোক্তা কোনো না কোনো কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ বসে নেই। আজ আমরা একজন সফল নারী উদ্যোক্তা পলি আপার ছাদবাগান দেখতে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর দেখতে তার এই ছাদবাগানটি। এই বাগান থেকে তার সংসারের চাহিদা পূরণ করেও বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন। হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার সকল সদস্য বিভিন্ন কর্মের মধ্যে রয়েছে। আমরা সবাই পারব ইনশাআল্লাহ সামনে এগিয়ে যেতে।
হামিদা আক্তার নামের একজন নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি একজন হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার সদস্য। আজ আমরা এসেছি আমাদের একজন সদস্যের ছাদবাগান দেখতে। তার বাগান ঘুরে দেখলাম, বিভিন্ন জাতের অনেক গাছ আছে। বাগান দেখে মন ভরে গেল। আমিও আশা করছি বাড়ির ছাদে এমন একটি বাগান তৈরি করব।
স্থানীয় ফরিদা বেগম বলেন, আমাদের প্রতিবেশী পলি আপা, তার নিজ বাড়ির ছাদে বাগান তৈরি করেছেন। বিভিন্ন জাতের গাছ আছে বাগানে, দেখে মন ছুঁয়ে যায়। আমি মাঝেমধ্যে তার ছাদবাগানে উঠি, সময় ভালো কাটে। আমিও শুরু করেছি পলি আপার মতো ছাদবাগান তৈরি করতে।
ছাদবাগান মালিক আরমিন আক্তার পলি বলেন, আমি ছোট থেকে ফুল আর ফলের গাছ বাড়িতে লাগাতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকে গাছ কীভাবে লাগাতে হয় এবং তার পরিচর্যা কীভাবে করতে হয়, এসব আমার বাবার নিকট থেকে শিখেছি। প্রায় সাত বছর আগে কয়েকটি গাছ লাগানোর মধ্য দিয়ে এই ছাদবাগান শুরু করি। বর্তমানে আমি হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার একজন সদস্য। ফল, ফুল ও সবজি চাষের পাশাপাশি নিজ হাতে সিমেন্ট বালু দিয়ে টব তৈরি করছি। আলহামদুলিল্লাহ বাড়ি থেকে এসব ভালো বিক্রি হচ্ছে।