কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫৪ পিএম
কুতুবদিয়ায় বহিঃনোঙরে এলজিপিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে আগুন লেগেছে। প্রবা ফটো
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় বহিঃনোঙরে এলজিপিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ৩১ জন ক্রুকে( নাবিক) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত পৌণে ১ টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলে এ ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাতে ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধার কাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে মেটাল শার্ক এবং চারটি অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল।
খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল। তবে কোন দেশ থেকে এলপিজি বহন করে আনছিল তা নিশ্চিত নন।
তিনি বলেন, এলপিজি বহনকারী ‘সুফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধার কাজ চালায় কোস্টগার্ডের ২ টি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর ৫ টি অত্যাধুনিক জাহাজ।
তিনি আরও বলেন, তবে ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাহাজটির ভিতরে পুনরায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন।’
কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিল। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কী পরিমান এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি।
এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোন ধরণের নাশকতা তা জানতে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান খন্দকার মুনিফ তকি।